আনোয়ার হোছাইন, ঈদগাঁও :
কক্সবাজার সদরের চৌফলদন্ডী বিদ্যুৎ অফিস ইনচার্জের বিরুদ্ধে ব্যাপক অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
ভুক্তভোগিরা ইতিপূর্বে তার বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরে অভিযোগ করলেও ব্যবস্থা না নেয়ায় উক্ত কর্মকর্তা দিন দিন আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।
প্রাপ্ত অভিযোগে জানা যায়, কক্সবাজার পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির ঈদগাঁও এরিয়া অফিসের অধীন চৌফলদন্ডী অভিযোগ কেন্দ্রের আওতাভুক্ত হাজারো গ্রাহক দীর্ঘদিন ধরে উক্ত অফিসের ইনচার্জ ওয়াহেদ তালুকদারের অব্যাহত অনিয়ম ও সেচ্ছাচারিতার কারণে প্রতিনিয়ত হয়রানির শিকার হচ্ছে। বিগত এক সপ্তাহ পূর্বে জালালাবাদ ইউনিয়নের পালাকাটা গ্রামের ডজনাধিক গ্রাহকের মিটার পরিবর্তন করে দেয়ার নামে চৌফলদন্ডী কালু ফকির পাড়ার জাফর আলমের ছেলে ইলেক্ট্রিশিয়ান রাশেদ পরিবর্তিত মিটার স্থাপনের বিনিময়ে জোরপূর্বক ৫ শ-১ হাজার টাকা হাতিয়ে নেয়। এ বিষয়ে তার সাথে কথা হলে জানায় ইনচার্জের নির্দেশে সে কাজ করে এবং টাকা আদায় করে তাকে বুঝিয়ে দেয় । গ্রাহকদের অভিযোগ, অহেতুক তাদের পূর্বের মিটার তুলে নিয়ে নতুন মিটার লাগিয়ে দেয়ার কথা বলে টাকা হাতিয়ে নেয়। জালালাবাদ পালাকাটার ইদ্রিছের ছেলে শাহাব উদ্দিন, আব্দু ছালামের ছেলে জসিম উদ্দিন, দুবাই প্রবাসি মোজাফ্ফর আহাম্মদ সহ মোট ১১ জন মিটার দুর্নীতির শিকার। এ ছাড়া ইনচার্জ ওয়াহেদ তালুকদার সংশ্লিষ্ট অফিসের লোকদের দিয়ে কাজ না করিয়ে এলাকার দালাল শ্রেনির ইলেক্ট্রিশিয়ানদের দিয়ে যেন-তেন ভাবে কাজ করায়। যার কারণে প্রতিনিয়ত ্এলাকার কোন না কোন স্থানে বৈদ্যুতিক সমস্যা সৃষ্টি হচ্ছে। অভিযোগ দিলে টাকা ছাড়া কাজ করে না। এ ছাড়া দীর্ঘদিন ধরে কিছু গ্রাহক আবাসিক মিটার থেকে টমটমে অবৈধ চার্জ দেয়া অব্যাহত রাখলেও মোটা অংকের মাসোহারায় পার পেয়ে যাচ্ছে। বিগত কয়েক মাস পূর্বে জলালাবাদ পালাকাটার মরহুম মুসলেম উদ্দিনের ছেলে রহিমকে অবৈধ টমটম চার্জ দেয়ার অভিযোগে জরিমানা কথা বলে মোটা অংকের টাকা পকেটস্থ করে এই ইনচার্জ। যে সব বৈদ্যুতিক সমস্যা উর্ধতন কর্তৃপক্ষের নিকট লিখিত আবেদনের মাধ্যমে নিরসন করা দরকার, সে গুলো গোপনে আতাত করে টাকা হাতিয়ে নেয়ার ও অভিযোগ রয়েছে। ইতিপূর্বে তার হয়রানিতে অতিষ্ট লোকজন তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করে। অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে ইলেক্ট্রিশিয়ান রাশেদ ইনচার্জের নির্দেশে কাজ করে টাকা আদায় করে বলে শিকার করলেও ইনচার্জ ওয়াহেদ তালুকদার রাশেদ কে ছিনে না বলে দাবি করে অভিযোগ অশ^ীকার করে। গ্রাহকদের অভিযোগ, উক্ত ইনচার্জ দীঘদিন যাবত একই এলাকার দায়ত্বে থাকায় সে আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। তাই তার বদলির দাবি জানান। উক্ত অভিযোগের বিষয়ে ঈদগাঁও এরিয়া অফিসের এজি এম (কম) মাসুদুর রহমান এর সাথে কথা হলে জানায় লিখিত অভিযোগ হলে ব্যাবস্থা নেয়া হবে । তবে ভুক্তভোগি গ্রাহক উক্ত দুর্নীতির মোবাইল কথোপকথনের অডিও এজি এম কে শুনালেও রহস্য জনক কারণে অস্বীকার করে।
পাঠকের মতামত: